প্রথম পর্ব :
আসসালামু-আলাইকুম, শুরুতেই সকলের শান্তি কামনা করতেছি। আর আমার এই পোস্টের আলোচনার বিষয় হল নাস্তিকতা এবং ধার্মিকতা নিয়ে। নাস্তিকদের বিভিন্ন লিখা-লিখি দেখে আমি চিন্তা করলাম যে, আমারা পৃথিবীর সবাই যদি নাস্তিক হয়ে যায়, তাহলে কেমন হবে এবং এটা নিয়ে আজকের লিখা। আর আমার মত আপনারাও কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, আমরা পৃথিবীর সব মানুষ যদি নাস্তিক হয়ে যেতাম তাহলে কেমন হত?? এ বিষয়ে আপনাদের কোন ধারণা থাকলে অবশ্যই জানবেন। আর আমার মতামত গুলা আপনাদের সামনে তুলে ধরতেছি, এর যৌক্তিকতা এবং অযৌক্তিকতা কতটুক তা আপনারাই বিবেচনা করবেন। আর আমার এই লিখাটা যতটুক সম্ভব শেয়ার করবেন।
1.) নাস্তিক কারা এবং এদের মূল উদ্দেশ্য কি?
সহজ ভাষায় যারা সৃষ্টিকর্তাতে অবিশ্বাসী তারা নাস্তিক এবং তারা বলে তাদের মূল উদ্দেশ্য হল, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা(যদিও আমি বলি ফিতনা সৃষ্টি করা)। এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি নাস্তিকতার মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করতেছে কারা? ধর্মিয়গ্রন্থ গুলা কি আমাদের শান্তির শিক্ষা দেয় না?
সংক্ষিপ্ত উত্তর হল : নাস্তিকতার দ্বারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা না বরং অশান্তিই সম্ভব এবং প্রকৃত পক্ষে তারাই পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টিকারী। আর প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থই শান্তির শিক্ষা দেই, মানবতার শিক্ষা দেই। যদিও অনেক ধর্মেই কিছু,কিছু কুসংস্কার রয়েছে। তবে আমার জানামতে কোন মূল ধর্মগ্রন্থই অশান্তির শিক্ষা দেয় না। বিশেষ করে আল-কুরআন্। আমি যেহেতু মুসলিম, সেহেতু এটা নিয়ে ভাল জানি। আর একটা বিষয় হল নাস্তিকরা সাধারণত ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি ভুল ব্যাখা করে থাকে, তারা ইসলামের পিছনেই বেশি লেগে থাকে। বাট এমনটা তারা কেন করে, তা আমি বুঝি না। হয়ত কোন সার্থ থাকতে পারে। সে যাইহোক, এখন আসি মূল প্রসঙ্গে। আচ্ছা আমরা সবাই যদি সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে নাস্তিক হয়ে যায় তাহলে, পৃথিবীতে কতটুক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? আপনি মানুন অথবা নাই মানুন, মানুষ যখন কোন সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাসী না থাকবে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষেদের ভেতর থেকে অপরাধ বোধ কমে যাবে, মানবতা কমে যাবে। আর নাস্তিকরা মানবতার কথা বলে, এটাও কিন্তু সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাস থেকে আসে। কিন্তু যখন সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু না থাকবে, তখন মানবতা বলতেও কিছু থাকবে না। যখন সৃষ্টিকর্তা না থাকবে, তখন আপনি কার বিধান মানবেন? নিজেরা বিধান তৈরীকরে নিবেন?? কিন্তু কোন লাভ হবে না। কারণ বিধানগুলো তখন কেও মানবে না। আর এসবকিছু হবে যার,যার সার্থের জন্য। যখন একটা বিধান কারো সার্থে আঘাত হানবে, তখনি সেটা সে মানতে চাইবে না। মানুষ তখন নিজ সার্থের জন্য যেকোন জঘন্য কাজ করতে একবারের জন্যও ভাববে না। মানুষের উপর মানুষের বিশ্বাস কমে যাবে এবং ঘৃণা বেড়ে যাবে। ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। নিজেদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে তখন যার যা খুশি তাই করবে। তাদের প্রত্যেকটা কাজের হিসাব যে সৃষ্টিকর্তার কাছে দিতে হবে, সে ভয় তখন আর থাকবে না। প্রকাশ্যে-গোপনে কোন অন্যায় করলে যে ভংকর শাস্তি পেতে হবে, সে চিন্তা থাকবে না। তাদের চিন্তা থাকবে শুধু নিজ সার্থ এবং ইচ্ছা শক্তির উপর। যেখানে সৃষ্টিকর্তার কোন ভয় নেই, সেখানে আবার কিসের বিধান মানব?? যে পরীক্ষার কোন রেজাল্ট হয় না, শুধু,শুধু কষ্ট করে সে পরীক্ষা কজনে দিতে চাইবে? অন্যদিকে যারা সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাসী, তারা অবশ্যই কোন কাজ করার পূর্বে সেটা নিয়ে ভাবে যে, আমি যেটা করতেছি, এটার রেজাল্ট একদিন ভুগ করতে হবে। আর সৃষ্টিকর্তার বিধান পরিবর্তনের কোন সুযোগ নাই। সু তাদের চিন্তা থাকে পরীক্ষা ভাল করে দেওয়া, যাতে রেজাল্ট ভাল হয়। অর্থাত তারা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য ভাল কাজ করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। আর তখন অটমেটিকলি তাদের ভেতর থেকে অপরাধবোধ কমে যায়, মানবতা বাড়ে। যার কারণে আমরা বর্তমান পৃথিবীতে কিছুটা হলেও শান্তিতে আছি। আর যতটুক অশান্তি আছে তা শুধু মাত্র নাস্তিকদের জন্য। কারণ তারা যা খুশি তাই করে, একদম নির্ভয়ে। তাদের কেও প্রকাশ্য নাস্তিক, কেউ গোপনে। এবার ভাবুন সবাই যদি এরকম নাস্তিক হয়ে যায়, তাহলে তখন পৃথিবীর অবস্থা কত ভয়াবহ হবে।
0 Comments
measage us